বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর জেলা পরিষদের আলোচিত উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেনকে মাগুরায় বদলির আদেশ দেয়া হয়েছে। খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখা থেকে ১৯ মার্চ তাকে বদলির আদেশ দেয়া হয়। ২০ মার্চের মধ্যে যশোর জেলা পরিষদ থেকে তাকে অবমুক্ত করা হয়েছে। প্রশাসককে না জানিয়ে গোপনে বিভিন্ন উপজেলার ইজারা দেয়ার অভিযোগে তাকে বদলি করা হয়েছে বলে গুঞ্জন উঠেছে।
সূত্র মতে, দেড় বছর আগে নড়াইল জেলা পরিষদ থেকে দুর্নীতির অভিযোগে যশোর জেলা পরিষদে বদলি করা হয়। সেখানে দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ২০১০-১১ অর্থ বছর থেকে ২০২২-২৩ অর্থ বছর পর্যন্ত খেয়াঘাট ইজারার আদায়কৃত পুরো টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে ১ লাখ ১ হাজার ২৪৪ টাকা আত্মসাৎ করেন। একইভাবে জমি ইজারার ৩ লাখ ৪৭ হাজার ২২ টাকা, মার্কেট ভাড়ার ৭০ হাজার ৮৫০ টাকা, পুকুর ইজারার ৯ হাজার ৩০১ টাকা, মার্কেট সেলামী আদায়ের ৩০ হাজার ৫০০ টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে ২০২৩ সালের ৯ মে নড়াইল জেলা পরিষদকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়। নড়াইল জেলা পরিষদ তদন্ত করে আলমগীরের বিরুদ্ধে ৮ লাখ ১৬ হাজার ৬১৮ টাকা আত্মসাতের সত্যতা পায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার নামে বিভাগীয় মামলা হয়। যার নং ০১/২০২৩। (যার সব ডকুমেন্ট এ প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে।)
এ তদন্ত চলাকালে যশোরে তাকে বদলি করা হয়। তিনি যশোর জেলা পরিষদে দেড় বছর দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় তিনি জেলা পরিষদ প্রশাসককে না জানিয়ে ইজারা বন্দোবস্ত দিয়েছেন বলে গুঞ্জন আছে। বদলি হলে তার অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত হতে পারে। এ আশংকা থেকে তিনি বদলির আদেশ ঠেকাতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বদলির আদেশের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে রিট করেছেন।
জানতে চাইলে উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেন বলেন, তাকে বদলির আদেশ দেয়া হয়েছে। বারবার আমাকেই শুধু বদলি করা হচ্ছে। আপনারা সোমবারের মধ্যে একটা কিছু জানতে পারবেন।