বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর শহরের পুরতন কসবা কাজীপাড়ার কানাডা প্রবাসী মাসুম হোসেন সিদ্দিকীকে অপহরণ মামলার দুই আসামিকে কারাগারে ও এক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার আসামিদের জামিন আবেদনের শুনানি শেষে সিনিয়ার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রহমত আলী এ আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী মোস্তফা হুমায়ুন কবির।
আসামিরা হলেন, যশোর শহরের বেজপাড়া চিরুনিকল টিবি ক্লিানিক মোড় এলাকার মোমিনুর রহমান বিপুল, রেলগেট তেঁতুলতলা এলাকার ইফতেখার আলম তুষার। পলাতক আসামি ঢাকা সাভারের এফ/৮, ব্লক-এ ব্যাংক কলোনির হেফজুর রহমান।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, মাসুম হোসেন সিদ্দিক কানাডা-বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিক। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে দেশে আছেন। স্ত্রী শরিফা আক্তার প্রিয়ার সাথে বনিবনা না হওয়ায় তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়। ২০২৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাতে তিনি তার বাসার নিচেয় ভাড়াটিয়া পলাশের দোকানে বসে ছিলেন। এ সময় একটি মাইক্রোবাস দোকানের সামনে এসে থামে এবং মাসুমকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণকারীরা মাসুমের মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ ও বাসার চাবি কেড়ে নিয়ে আসামি মোমিনুর ও প্রিয়ার কাছে দেয়।
অপহরণকারীরা মাসুমকে ঢাকা সভারের একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্রের নিয়ে মারপিট ও আটকে রাখে। পরে পুলিশের সহযোগিতায় মাসুমকে উদ্ধার করে স্বজনেরা। মাসুম হোসেন সিদ্দিকী কিছুটা সুস্থ হয়ে অপহরণের অভিযোগে ১৪ সেপ্টম্বর ৪ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। আদালতের আদেশে সিআইডি পুলিশের এসআই ফকরুল ইসলাম তদন্ত শেষে অপহরণের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই ওই ৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদনের উপর শুনানি শেষে তৎকালীন বিচারক প্রত্যেক আসামির প্রতি সমন জারির আদেশ দিয়েছিলেন।
সোমবার ধার্য দিনে আসামি মোমিনুর, শরিফা আক্তার ও ইফতেখার আলম আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন। বিচারক তিন আসামির জামিন আবেদনের শুনানি শেষে মোমিনুর ও ইফতেখার আলমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সাথে পলাতক আসামি হেফজুর রহমানে বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ও আসামি শরিফা আক্তার প্রিয়ার জামিন মঞ্জুরের আদেশ দিয়েছেন।