বাংলার ভোর প্রতিবেদক
মার্চ মাসের তুলনায় এপ্রিলে যশোর জেলার আইনশৃংখলা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক ছিল। খুন, ধর্ষণ ও দস্যুতার মত অপরাধ বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিত সন্তোষজনক ছিল না। সোমবার সকালে জেলা কালেক্টরেট ভবনের অমিত্রাক্ষর সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় এই অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়।
সভায় যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম উল্লেখ করেন, এপ্রিল মাসে জেলায় তুলনামূলকভাবে খুন, ধর্ষণ ও দস্যুতার মতো অপরাধ বেড়েছে। যা গত মার্চ মাসে অপেক্ষাকৃত কম ছিল। তবে তিনি আশ্বস্ত করেন ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসের তুলনায় চলতি বছরের পরিস্থিতি ভাল ছিল। জেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর জোর দেন তিনি। কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য কমাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের বিশেষভাবে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
সভায় জেলা পুলিশের পক্ষ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) নূর-ই-আলম সিদ্দিকী জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মামলা বৃদ্ধির অর্থ হলো কাজের পরিধি এবং পরিবেশ সৃষ্টি হওয়া। পূর্বে মামলা দায়েরে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা থাকলেও বর্তমানে যেকেউ সহজেই মামলা করতে পারছেন। জেলায় সংঘটিত খুন, ধর্ষণ, ডাকাতিসহ সকল প্রকার অপরাধের রহস্য উদঘাটন (ডিটেক্ট) করা হয়েছে। আসামিদেরও আটক করা হয়েছে।
সভায় জেলার সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণ, সন্ত্রাসীদের অপচেষ্টা ও অপপ্রচার, পরিবেশ বিনষ্টের চেষ্টা, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টাকারী, জেলা ও শহরে বৃদ্ধি পাওয়া চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি এবং ছুরি-চাকুর ব্যবহার বৃদ্ধিতে জনমনে আতঙ্ক, গ্রাম ও তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত মাদকের বিস্তারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সভায় এসব পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এবং করণীয় দিক নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
জেলা প্রশাসক ও জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি আজাহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক ও যশোর পৌরসভার প্রশাসক রফিকুল হাসান, এনএসআইয়ের যুগ্ম পরিচালক আবু তাহের মোহাম্মদ পারভেজ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কমলেশ মজুমদার, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নাজমুস সাদিক রাসেল, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, জেলা জামায়াতের আমীর গোলাম রসুল, চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মিজানুর রহমান খান, এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য খালেদ সাইফুল্লাহ, প্রেসক্লাব সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন প্রমুখ।
##