বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় এসএসসির ফলাফলে শীর্ষে স্থান অর্জন করেছে যশোর জেলা। গতবছরের মত এবারও তলানীতে অবস্থান মেহেরপুর জেলার। এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তি কমেছে। গত বছর প্রথম স্থানে ছিল সাতক্ষীরা জেলা। এবার শতভাগ পাস করেছে ৭৫টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। শতভাগ ফেল প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এবার দুটি। গত বছরের তুলনায় এবার ২০ শতাংশ পাসের হার কমেছে। জিপিএ-৫ প্রাপ্তিও কমেছে প্রায় ৫ হাজার। ইংরেজি ও গণিতে বেশি সংখ্যা পরীক্ষার্থী ফেল করায় সার্বিক ফলাফলে প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন বোর্ড সংশ্লিষ্টরা।
বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটায় যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসএসসির ফলাফল ঘোষণা করেন বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোসাম্মৎ আসমা বেগম।
প্রকাশিত ফলাফলে জানা যায়, এবার যশোর বোর্ডের অধীন খুলনা বিভাগের ১০ জেলা থেকে এক লাখ ৩৮ হাজার ৮৫১ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। পাস করেছে এক লাখ দুই হাজার তিনশ’ ১৯ শিক্ষার্থী। এ বছর যশোর বোর্ডে পাসের দাঁড়িয়েছে ৭৩.৬৯ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ৪১০ শিক্ষার্থী। গত বছর পাশের হার ছিল ৯২ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২০ হাজার ৭৬১ শিক্ষার্থী।
পাসের হারে খুলনা বিভাগের ১০টি জেলার মধ্যে প্রথম হয়েছে যশোর। আর সবচেয়ে কম পাস করেছে মেহেরপুর জেলার পরীক্ষার্থীরা। যশোরে পাসের হার ৭৯.০৭ শতাংশ। মেহেরপুর জেলায় পাসের হার ৬২ দশমিক ৭০ শতাংশ। খুলনা জেলায় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ। সাতক্ষীরা জেলায় পাসের হার ৭৬ দশমিক ৮০ শতাংশ। নড়াইল জেলায় পাসের হার ৭৩ দশমিক ৬১ শতাংশ। কুষ্টিয়া জেলায় পাসের হার ৭৩ দশমিক ৪০ শতাংশ, চুয়াডাঙ্গা জেলায় পাসের হার ৭২ দশমিক ১৬ শতাংশ, বাগেরহাট জেলায় পাসের হার ৭১ দশমিক ৬০শতাংশ, মাগুরা জেলায় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ, ঝিনাইদহ জেলায় পাসের হার ৬৭ দশমিক ৮০ শতাংশ।
এ বছর ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে ফেল করেছে বেশি। যার প্রভাবে সামগ্রিক পাশের হারেও পড়েছে। এবার ইংরেজিতে ৮৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ, গণিতে ৮৫ দশমিক ০২ শতাংশ শিক্ষার্থী পাশ করেছে। বাংলায় ৯৭ দশমিক ৯২, ভুগোলে ৯৪ দশমিক ৬৯, ইসলাম ধর্মে ৯৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাশ করেছে।
এ বিষয়ে যশোর শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. মো. আব্দুল মতিন বলেন, শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যথাযথ নজরদাবি এবং অভিভাবকদের সহযোগিতায় যশোর বোর্ড ভাল ফলাফল অর্জন করেছে। বিশেষ করে সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা, শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যথাযথ নজরদারি, যথাযথ মূল্যায়নের মাধ্যমে এই ফলাফল প্রস্তুত করা হয়েছে।
তবে গতবছরের তুলনায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তি কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি জানান, জুলাই আন্দোলনের কারণে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ এবং সেই সময় সার্বিক শিক্ষা কার্যক্রমে যে ছেদ পড়েছিল, তার একটা প্রভাব পড়তে পারে। এছাড়া জুলাই আন্দোলন পরবর্তী সময়ে যথাযথভাবে পরীক্ষা গ্রহণ ও মূল্যায়নের মাধ্যমে এই ফলাফল অর্জিত হয়েছে।