অভয়নগর প্রতিনিধি
অভয়নগর উপজেলার ভবদহ জলাবদ্ধ এলাকায় অবস্থিত তালতলা থেকে ডুমুরতলা সড়কটি জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পেতে উঁচু করে নির্মাণের দাবিতে এলাকাবাসী স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। বৃহস্পতিবার তারা উপজেলা প্রকৌশলী বরাবর এ স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, উপজেলাধীন কেডিএ আর আই পি এম ৪১ প্রকল্পের আওতায় তালতলা থেকে ডুমুরতলা পর্যন্ত সাড়ে ৫ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের দায়িত্ব পান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ওয়াই এ খান। এর ব্যয়ভার ধরা হয়েছে ১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। কিন্তু তালতলা থেকে আন্ধা পর্যন্ত রাস্তাটির সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। বাকি আন্ধা থেকে ডুমুরতলার পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তাটি বেশিরভাগ সময় পানিতে থাকে নিমর্জিত। এমন অবস্থায় রাস্তাটি পূর্বের ন্যায় করা হলে বেশিদিন টেকসই হবে না। এতে সরকারের শুধু অর্থই অপচয় হবে জনগণের কোন উপকারে আসবে না। তাদের দাবি, রাস্তাটি নতুন পরিকল্পনা করে দুই পাশে প্যালাসাডিং দিয়ে উঁচু করতে হবে। সেই সাথে রাস্তাটি তিন ফুট উঁচু করতে হবে। তাহলে এলাকাবাসীর সমস্যার সমাধান হবে।
ডুমুরতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র আকাশ বলেন, বর্ষার সময় এই রাস্তা দিয়ে আমরা স্কুলে যেতে পারি না। রাস্তাটি ভালোভাবে করলে আমরা স্কুলে যেতে পারবো। ভ্যান চালক শিবপদ বলেন, এই রাস্তা দিয়ে বছরে ৬ মাস চলাচল করা যায়। বাকি সময় রাস্তায় জল থাকে। তাই রাস্তা উঁচু করে করলে আমাদের গাড়ি চালাতে সুবিধা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা রনজিৎ মল্লিক বলেন, এই রাস্তাটি বছরের অর্ধেক সময় থাকে পানির নিচে। অনেক বছর পর রাস্তাটি সংস্কারে কাজ শুরু হয়েছে। অথচ সঠিক পরিকল্পনা না করে দায়সারা ভাবে কাজ করে চলে যাচ্ছে। এতে আমাদের কোন কাজে আসবে না। তিনি বলেন, রাস্তার দুপাশে গাইড ওয়াল দিয়ে তিন থেকে চারশ ফুট উঁচু না করলে রাস্তাটি এক বছরও টিকবে না।
চলিশিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সানা আব্দুল মান্নান বলেন, আন্ধা টু ডুমুরতলা রাস্তাটি প্রায় ছয় মাসের মত পানিতে নিমজ্জিত থাকে। ফলে রাস্তার এই অংশটুকু গাইড ওয়াল দিয়ে উঁচু করে তৈরি না করলে বেশিদিন টেকসই হবে না।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজের দায়িত্বে থাকা আমির হোসেন মিন্টু বলেন, আমরা সরকারি সিডিউল অনুপাতে কাজ করছি। তবে তিনি স্বীকার করেন এই ভাবে কাজ করলে রাস্তার স্থায়িত্ব বেশি দিন থাকবে না। নতুন পরিকল্পনা প্রণয়ন করে অবশিষ্ট দেড় কিঃমিঃ বেশি রাস্তাটি সংস্কার করলে ভালো হতো।
অভয়নগর উপজেলা প্রকৌশলী এস এম ইয়াফি’র কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আন্ধা টু ডুমুরতলা রাস্তার ব্যাপারে স্থানীয় জনগণের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে এলজিইডির যশোর জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম জানান, আমি রাস্তাটি পরিদর্শন করেছি। এই বাজেটে রাস্তা উঁচু করার কোন সুযোগ নেই। পরবর্তীতে নতুন বাজেট আসলে বিষয়টি ভেবে দেখব।
শিরোনাম:
- যশোরে আরও চার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিরাপদ খাদ্য আইনে মামলা
- যশোরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস উল্টে খাদে, ১০ যাত্রী আহত
- যশোরে ইকোর শিক্ষাবৃত্তির চেক প্রদান
- কালীগঞ্জে বিদ্যালয়ের এডহক কমিটি গঠন নিয়ে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ
- খাস কালেকশনের নামে সরকারি অর্থ লোপাট
- কালীগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল একজনের
- বেনাপোল কাস্টমস হাউজে কলম বিরতি : আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক
- ঝিকরগাছায় জেলের নৌকা ও জালে আগুন !