কেশবপুর পৌর সংবাদদাতা
যশোরের কেশবপুরে ঘেরে মাছ ধরা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলার সুফলাকাটি ইউনিয়নের সারুটিয়া গ্রামের মাছের ঘের ব্যবসায়ী সিদ্দিকুর রহমান বিশ্বাস বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় এ মামলাটি করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন, সুফলকাটি ইউনিয়নের আলমগীর সরদার, দীনু বিশ্বাস, মিকাইল মোল্যা, মামুন, মিজানুর রহমান, সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি এস এম মুনজুর রহমান, ওই ইউনিয়নের ফয়সাল মোড়ল, শফিকুল গাজী, সবুজ মোড়ল, আবুল কাশেম, ইব্রাহিম হোসেন, আম্মার সরদার, বক্কার সরদার, বজলু সরদার, দাউদ সরদার, সাইফুল সরদার ও সমর কুন্ডুসহ অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সুফলাকাটি ইউনিয়নের ছোট বিলের মধ্যে ঘের ব্যবসায়ী সিদ্দিকুর রহমান বিশ্বাসের লিজকৃত ৮৫ বিঘা মাছের ঘের রয়েছে। সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম মুনজুর রহমানের সঙ্গে তার ওই মাছের ঘের নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এর জেরে গত ১৪ নভেম্বর সকালে মামলায় উল্লেখিত ব্যক্তিসহ অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জন মাছের ঘেরে ঢুকে জেলেদেরকে হুমকি দিয়ে মাছ ধরার কাজ বন্ধ করে দেয়। এ সময় তার ছেলে মামুন বিশ্বাস, চাচাতো ভাই ইকবল সরদার, বিল্লাল সরদার, আব্দুল্লাহ মাছ ধরতে বাধা দেয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে মুনজুর রহমানের নির্দেশে তাদেরকে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। পরবর্তীতে তাদেরকে উদ্ধার করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে আহতরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খান শরীফুল ইসলাম বলেন, ঘেরে মাছ ধরা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় ঘের ব্যবসায়ী সিদ্দিকুর রহমান বিশ্বাস বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। মামলার আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।