সাতক্ষীরা সংবাদদাতা
সাতক্ষীরা নিজেদের পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে বিপাকে পড়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার। জানা গেছে, কালিগঞ্জ উপজেলার ২ নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের শ্রীধরকাটি গ্রামের শেখ হাজির উদ্দীন আহমেদ ও তার ভাই শেখ আমিন উদ্দীন আহমেদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরির নিমিত্তে ৪০ শতক জমি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর গত ইং ১২-১২-১৯৯০ তারিখ নিরুপনপত্র দলিল মূলে রেজিস্ট্রি করে দেন। পরে বিদ্যালয়ের নামে নিরুপনপত্র করে দেয়া ৪০ শতক জমি সংকুচিত হওয়ায় তাৎক্ষণিক ভাবে ওই জায়গায় ভবন নির্মাণ সম্ভব হয়নি। সে কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জায়গা পরিবর্তন করে একই মৌজার অন্য প্লটের ৫৩ শতক জমি গণপ্রজাতন্ত্রী
বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর রেজিস্ট্রি করে দেয়। জমিদাতারা হলেন কালিগঞ্জ উপজেলার শ্রীধরকাটি গ্রামের শেখ হাজির উদ্দীন আহমেদ ২০ শতক, যার খতিয়ান নং ১২২ দাগ নং ৩২৭, হাজির উদ্দীন এর তিন ছেলে শেখ আলাউদ্দিন আহমেদ ১১ শতক, শেখ সালাউদ্দিন আহমেদ ১১ শতক এবং শেখ আক্তার উদ্দীন আহমেদ ১১ শতক যার খতিয়ান নং ১৯৪, দাগ নং ৩২৮। দুই খতিয়ান মিলে মোট ৫৩ শতক জমি। তপশীল সম্পত্তি যার সাবেক দাগ ১৬০ ও হাল দাগ ২৩০ এর ০২ নং খতিয়ান মূলে এক একর জমির মধ্যে ওয়ারেশ সূত্রে শেখ সালাউদ্দিন আহমেদ অন্যত্র ২৪ শতক জমি বিক্রি করেন। কালিগঞ্জ শ্রীধরকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও জমি দাতা শেখ আলাউদ্দীন আহমেদ বলেন, আমার ভাই জমি বিক্রি করায় একটি কুচক্রী মহল আমাদের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের নামে নিরুপনপত্র করে দেয়া জমি কোটি টাকায় বিক্রি করেছে মর্মে বিভিন্ন সাংবাদিক মহল সহ এলাকায় সম্মানহানির নিমিত্তে গুজব ছড়াচ্ছে যা আদৌ সত্য নয়।