নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইলে আইসিটি ইন এডুকেশন প্রশিক্ষনার্থীদের খাবারের টাকায় অনিয়ম, দুর্নীতি এবং অর্থ আত্মসাৎ-এর অভিযোগ উঠেছে পিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট শাহিদা খাতুনের বিরুদ্ধে। প্রতিটি প্রশিক্ষনার্থীদের খাবারের জন্য ৪৫০ টাকা বরাদ্দ থাকলেও নিম্ন মানের খাবার দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
পিটিআই অফিস সূত্রে জানায়, জেলার তিনটি উপজেলায় পর্যায়ক্রমে সাতটি ধাপে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাছাইকৃত শিক্ষকদের ১৪ দিন আইসিটি প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। ১ম ও ২য় ব্যাচ শেষে ইতিমধ্যে ৩য় ধাপে প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। প্রশিক্ষণার্থীদের খাবার বাবদ প্রতিদিন ৪৫০ টাকা, দূরত্ব অনুযায়ি যাতায়াত খরচ ও ৭৫০ টাকা সম্মানি দেয়া হবে।
অভিযোগ উঠেছে পিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট নির্দেশনায় সকালে নামমাত্র নাস্ত ও দুপুরে ডাল ভাত ও মুরগীর মাংস দিচ্ছেন। রাতে কেউ না থাকায় সেই টাকা বেঁচে যাচ্ছে। সর্বসাকুল্যে ২০০ টাকার খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে দাবি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষকদের। নিম্ন মানের খাবার দিয়ে ৪৫০ টাকার বিল ভাওচার করা হবে বলে অভিযোগ প্রশিক্ষনার্থীদের।
অপরদিকে, প্রশিক্ষণার্থীদের সকাল ৯ টা থেকে শুরু করে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত প্রশিক্ষণ দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে রাতে পিটিআই কেন্দ্র থাকতে হবে।
নীতিমালায় থাকলে ও সুপারিনটেনডেন্ট শাহিদা খাতুনকে ম্যানেজ করে স্ব স্ব গৃহে চলে যাচ্ছেন প্রশিক্ষনার্থীরা। অবৈধ এই সুবিধা পেয়ে খাবারের টাকার অনিয়মে অনেকেই মুখ খুলছে না।
তবে প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে এই অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে অনেকেই মুখ খুলতে শুরু করছেন বলেই ২য় তৃতীয় ব্যাচের বিষয়ে পিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট শাহিদা খাতুন বর্তমান প্রশিক্ষনার্থীদের সাথে সমন্বয় করার চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।
নড়াইল পিটিআই ইন্সপেক্টর (সাধারণ) প্রশিক্ষক আবু বক্কার সিদ্দিক জানান, খাবারের মান নিম্ন বললে ভুল হবে। খাবারের মান সঠিক আছে। প্রশিক্ষণার্থীদের সকালে ডিম, পুরি, কমলা ও দুপুরে ভাত, ডাল, সবজি, মুরগির মাংস খাওয়ানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে নড়াইল পিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট শাহিদা খাতুন বলেন, প্রতিটি প্রশিক্ষণার্থীদের খাবারের জন্য ৪৫০ টাকা বরাদ্দ আছে। আমি প্রশিক্ষণার্থীদের সাথে কথা বলে ৩৫০ টাকার খাবার দিচ্ছি। বাকি ১শ’ টাকা তাদের নগদ দেয়া হবে। তবে এ ভাবে নগদ দেয়ার কোন নিয়ম নেই। রাতে না থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, রাতে কোন শিক্ষক থাকতে রাজি না। যার কারণে এটা নিয়ে আমি জোরাজুরি করিনি। কেউ যদি থাকতে চায় তাহলে থাকবে।
তিনি আরো বলেন, রাতে কেউ না থাকলে তো রাতের খাবার বেচে যাবে এটা স্বাভাবিক।
শিরোনাম:
- আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কম্বল বিতরণ
- দেয়াড়া স্বেচ্ছাসেবক দলের কম্বল বিতরণ
- জমকালো ও ব্যতিক্রমী আয়োজনে সম্পন্ন হলো নান্দিকের ‘চারুসঙ্গ ২৪
- যশোরের মুখ উজ্জ্বল করা তামিমের হাত ধরেই আসবে বিশ্বকাপ : জেলা প্রশাসক
- যশোরে কর্মী সম্মেলন সফল করতে জামায়াতের মিছিল ও লিফলেট বিতরণ
- ঝিকরগাছা অবহতিকরণ সভা অনুষ্ঠিত
- কালীগঞ্জে আন্তঃইউনিয়ন ভলিবলে জামাল ইউনিয়ন চ্যাম্পিয়ন
- খুলনায় সাউণ্ড লাইট ব্যবসায়ীর উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন