সাতক্ষীরা সংবাদদাতা
রাতারাতি ভোল পাল্টে বিএনপি-জামায়াতের কর্মী হওয়ার দৌঁড়ে নেমেছেন সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের অবৈধ সাবেক সাধারণ সম্পাদক এএসএম মাকসুদ খান।
টাকার বিনিময়ে ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক পদ দখল করা এ আ.লীগ নেতার অপকর্মের কোন শেষ নেই। তার সিণ্ডিকেটের কারণে একরম ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে যায় বন্দরটি। বন্দরের ব্যবসায়ীদের একপ্রকার জিম্মি করে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে গেছেন।
গত ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর আত্মগোপনে থাকা মাকসুদ খানসহ অন্যান্য নেতারা ইতিমধ্যে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে বন্দরটিকে অচল করার ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। আওয়ামী লীগ মদদ পুষ্ট বিগত অবৈধ কমিটির নেতারা অ্যাসোসিয়েশনের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তা রয়েছেন। ব্যবসায়ীরা বলছেন দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের দলীয়করণে তাদেরই পছন্দ লোক দিয়ে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে অ্যাসোসিয়েশন দখল করে বন্দর পরিচালনা করেছেন। ঘুরে ফিরে আওয়ামী লীগের লোকজনই অ্যাসোসিয়েশন দখল করেছে। চাঁদাবাজি করেছেন। এমনকি মাঝখানে আওয়ামী লীগের এক দরবেশ বাবাও কয়েক মাস বন্দর লুটে খেয়েছেন।
তারা বলেন, সব শেষ ২০২২ সালে পরিকল্পনামাফিক সাধারণ সভার নামে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা করে মনোনয়ন পত্র কিনতে দেয়নি পুলিশ ও আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ নেতারা প্রকাশ্যে ভয় দেখিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাকসুদসহ পছন্দের লোকদের অ্যাসোসিয়েশনের কমিটি গঠন করেছে। এখন তারাই আবার জামায়াত-বিএনপির সাথে ভিড়ে যেয়ে বন্দর অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছেন।
বর্তমানে স্বাভাবিক পরিবেশে ভোমরাস্থল বন্দরের কার্যক্রম চলছে তারই মাঝে ব্যবসায়ী নামধারী সুদে কারবারি এএসএম মাকসুদ খান ভোমরা স্থলবন্দরের ব্যবসা বানিজ্যকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে বিভিন্ন দপ্তরে নামে-বেনামে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করে চলেছেন।
সাধারণ ব্যবসায়ীরা, সুদখোর মাকসুদ খানকে গ্রেফতার পূর্বক তাকে বিচারের আওতায় এনে ভোমরা স্থলবন্দরে ব্যবসা বাণিজ্যের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
১৯৯৬ সালে গঠিত বন্দরটিতে বর্তমানে নবগঠিত সিএন্ডএফ আ্যাসোসিয়েশন, আমদানি রপ্তানিকারক, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং কাষ্টমস্ কর্তৃপক্ষ ভোমরা বন্দর সংশ্লিস্ট সকল ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রচেষ্টায় স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসায় বর্তমানে ব্যবসায়ীরা আবারও ভোমরা স্থল বন্দরে ব্যবসা বাণিজ্যে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।