বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর সদরের হামিদপুরের আসাদুজ্জামানের বাড়িতে গত ২৭ জুন দুপুরে হামলা চালিয়ে নগদ ১০লাখ টাকা, স্বর্ণালংকার লুটপাট ও বাড়ি ঘর ভাংচুরের ঘটনায় ২৪ আগস্ট শনিবার রাতে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। ওই গ্রামের আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন ও তার ছেলে পিয়াসের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১৫০/২০০জন আসামি উল্লেখ করেছে। শহিদুল ইসলাম মিলন যশোর শহরের ঘোপ পিলু খান রোডের বাসিন্দা ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, গত ২৭ জুন দুপুর সাড়ে ১২ টার সময় বাদীর বাড়িতে শহিদুল ইসলাম মিলন ও তার ছেলে পিয়াসের নেতৃত্বে মাইক্রো, প্রাইভেট ও মোটরসাইকেলযোগে আসা অজ্ঞাতনামা প্রায় ১৫০/২০০জন সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে একটি এস্কেভেটর ও ৭টি ট্রাক্টরের ট্রলি নিয়ে আকম্মিকভাবে বাদির বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে। অস্ত্রের মুখে বাদির বাড়ির সকলকে জিম্মি করে প্রথমে বাদি বৃদ্ধ আসাদুজ্জামানকে মারপিট করে মোবাইল কেড়ে নেয়। এরপর সন্ত্রাসীরা বাদির বড় ছেলে আরমান হোসেন ও ছোট ছেলে জাফরীকে মারপিট করে মোবাইল সেট কেড়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে। এরপর বাদির স্ত্রী ও ছেলের স্ত্রীরা এগিয়ে এলে তাদেরকে মারপিট করে সন্ত্রাসীরা। এরপর সন্ত্রাসীরা একে একে ঘরে ঢুকে হকিষ্টিক দিয়ে মালামাল ভাংচুর ও লুটতরাজ চালায়। সন্ত্রাসীরা ওয়ারড্রব ভেঙ্গে বাদীর জমি বিক্রির নগদ ১০ লাখ টাকা, প্রায় ৩০ লাখ টাকা মূল্যের ৩০ ভরি স্বর্ণের গহনা ও সাড়ে লাখ টাকা মূল্যের ৩টি গরু, ৮০ হাজার টাকা মূল্যের ৬টি ছাগল, ৯ হাজার টাকা মূল্যের ৬টি রাজহাঁস, ৫ হাজার টাকা মুল্যের ১০টি মুরগি, ১২ হাজার টাকা মূল্যের ১৫টি পাতিহাঁস, ১লাখ টাকা মূল্যের ব্যাটারিসহ ৪টি সোলার প্যানেল, ৩০ হাজার টাকা মূল্যের ১০ টি লেপ তোষক, ৩ লাখ টাকা মূল্যের ১৫০ সেপ্টি মেহগুনির সাইজ কাঠ, ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের ৬০মন গম, ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের ৯০মণ ধান, ১ লাখ টাকা মূল্যের খৈল, ১ লাখ টাকা মূল্যের ১৫ মণ তিল, ২৫ হাজার টাকা মূল্যের পানির ১ টি মটরসহ বিভিন্ন ফল ফলালীও লুটতরাজ করে সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীরা বাদীর ৮ রুমের ছাদের ঘর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা ৬টি ট্রাক্টরের টলিতে করে লুটকৃত মালামাল নিয়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ সাংবাদিক এবং স্থানীয় জনগন ঘটনাস্থলে ছুটে আসনে এবং বিধ্বস্ত বাড়ি ঘর দেখেন।
সন্ত্রাসীরা যখন বাড়ি ঘর লুটতরাজ চালায় তখন তাদের একটি অংশ অস্ত্র নিয়ে বাদির বাড়ির চারিদিক দিয়ে ঘিরে ছিল। বাদি মামলায় উল্লেখ করেন, ১৯৯৩ সালে শিল্প ব্যাংক থেকে বাদির নামে ক্রয়কৃত নিলামের সম্পত্তিতে বাদি তার পরিবার বসবাস করে আসছে এবং উক্ত সম্পত্তির সকল বৈধ কাগজপত্র বাদির কাছে আছে। অথচ বিবাদী শহিদুল ইসলাম মিলন উক্ত সম্পত্তি তার বিয়াই নূরুল ইসলামের দাবি করে দীর্ঘদিন ধরে বাদির নিলামে কেনা সম্পত্তি দখলের পায়তারা করে আসছেন।