বাংলার ভোর প্রতিবেদক
জাল ওয়ারেশকায়েম সনদ প্রদানের অভিযোগে নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক প্রকাশ চন্দ্রসহ চারজনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুরের শহিদুল ইসলাম এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রহমান আলী অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
অপর আসামিরা হলে, নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, যশোর সদর উপজেলার আন্দুলিয়া গ্রামের ইনামুল হক ও খুলনার ফুলতলা যুগ্নীপাশা গ্রামের মাহামুদা বেগম।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, শহিদুল ইসলামরা দুই ভাই, সাত বোন ও এক মা। ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া জমিতে নরেন্দ্রপুর গ্রামে ৫০ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন তারা। গত ৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় আসামি ইনামুল হক বাড়িতে এসে একটি ওয়ারেশকায়েম সনদ দেখিয়ে বলে তার পিতা মকবুল হোসেন এবং মা মাহামুদা বেগম। তিনি ওই বাড়ির সন্তান এবং সব সম্পত্তিতে তার ভাগ আছে। এনিয়ে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে ইনামুল ভয়ভীতি দেখিয়ে চলে যান। পরবর্তিতে শহিদুল ইসলাম ও তার ভাই ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে ওয়ারেশকায়েম সনদ দেয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে প্রশাসক ও মেম্বার কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এমনকি তারা কোনো ধরনের প্রমাণপত্র ছাড়াই জাল ওয়ারেশকায়েম সনদ প্রদান করেছেন। ওই সনদ দিয়ে আসামিরা শহিদুল ইসলামের জমি দখলের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলে মামলা না নেয়ায় তিনি আদালতে এ মামলা করেন।