গোপাল ঘোষ
প্রকৃতিতে শীতের আগমনের শুরুতেই কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। গত সপ্তাহে সবজির যে দাম ছিল শুক্রবার তা মোটামুটি একইরকম ছিল। তবে শিমের দাম বেড়েছে ১০-২০ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, নতুন জাতের শিম আসায় দাম কিছুটা বেশি হলেও কিছুদিনের মধ্যেই কমে যাবে।
এদিকে সবজির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম। কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বাড়লেও দও বৃদ্ধির কারণ জানেন না বিক্রেতারা।
শুক্রবার শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড বাজার ঘুরে দেখা যায় গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম রয়েছে প্রায় অপরিবর্তিত। এদিনবাজারে শিম ৮০-১০০ টাকা, শালগম ৫০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৬০ টাকা, টমেটো ১০০-১২০ টাকা, পেঁয়াজ পাতা ১০০-১২০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, গাজর ৮০-১০০ টাকা, লম্বা বেগুন ৪০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৫০ টাকা, কালো লম্বা বেগুন ৬০-৭০ টাকা, শসা ৬০-৮০ টাকা, উচ্ছে ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা , ঢেঁড়স ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কচুর লতি ৮ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা, ধনেপাতা ১২০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতিটি লাউ ৮০ টাকা, ফুলকপি ৩০-৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০-৫০ টাকা ও চাল কুমড়া ৩০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি।
শীতকালীন সবজির দাম বাড়তি কেন বাড়লো জানতে চাইলে বিক্রেতা বসির বলেন, নতুন জাতের শিম তাই দাম একটু বেশি। কয়েক দিনের মধ্যেই কমে যাবে। আর শীতের নতুন লাউ তাই দাম কিছুটা বেশি।
এ সময় পাশে থাকা ক্রেতা খালিদ বলেন, বিক্রেতারা শুধু দাম বাড়ানোর তালে থাকে। এখন সবজির দাম কমে এসেছে এটা তাদের ভালো লাগছে না।
শুক্রবার সবজির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম। পেঁয়াজের দাম এখনও ১০০ টাকার নিচে নামেনি, উলটো বেড়েছে। আজকের বাজারে দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা, ক্রস জাতের পেঁয়াজ ১২০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আলুর দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। গত সপ্তাহের মতো আজও লাল ও সাদা আলু ৫০ টাকা দরেই বিক্রি করতে দেখা যায়। এক্ষেত্রে দেখা যায় সব ধরনের পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা।
দাম বাড়তির বিষয়ে বিক্রেতা সুমন বলেন, পেঁয়াজের দাম কেন বেড়েছে বলতে পারছি না। তবে নতুন পেঁয়াজ না উঠা পর্যন্ত দাম কমার কোন সম্ভাবনা দেখছি না।
পেঁয়াজ কিনতে আসা গৃহবধূ সাবিনা বলেন, পেঁয়াজের দাম কমবে সে আশা ছেড়ে দিয়েছি তাই অল্প করে কিনি।
এছাড়া ভারতীয় আদা ২০০ টাকা, দেশি রসুন ২২০ টাকা, চায়না রসুন ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
শুক্রবার বাজারে ইলিশ মাছ ওজন অনুযায়ী, ৮০০-১৮০০ টাকা, রুই মাছ ৩৮০-৬০০ টাকা, কাতল মাছ ৪০০-৫০০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৫০০-৮৫০ টাকা, কাচকি মাছ ৪৮০-৬০০ টাকা, কৈ মাছ ২০০-৪০০ টাকা, পাবদা মাছ ৪০০-৬০০ টাকা, শিং মাছ ৪০০-৬০০ টাকা, বেলে মাছ ৪৮০-৮০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০-৮০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৭০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা, কক মুরগি ২৮০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা, গরুর মাংস ৬২০-৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি ডজন লাল ডিম ১২০ টাকা, সাদা ডিম ১১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছ বিক্রেতা শহিদুল বলেন, গরুর মাংসের দাম কমে যাওয়াতে মানুষ মাছ কম কিনছে। গরুর মাংস বিক্রেতা বাবু বলেন, দাম কমার পর ক্রেতা বেড়েছে।
মাংস কিনতে আসা শফিকুল বলেন, গরুর মাংস তো ধরাছোঁয়ার প্রায় বাইরে চলে গিয়েছিল। এখন দাম কিছুটা কমেছে বলেই কিনছি। তবে বিক্রেতারা এক কেজি গোশ নিলে তার সংগে চর্বি ও আর যে পরিমাণ হাড় দেয় তাতে গোশের পরিমাণ অনেক কমে যায়। আর এভাবেই দাম কমানোর টাকা উসুল করছে কিনা বুঝতে পারছি না।
তবে গত সপ্তাহের মতো অপরিবর্তিত দামেই বিক্রি হতে দেখা গেছে মুদি মালামাল। শুক্রবার ছোট মসুর ডাল ১৪০ টাকা, মোটা মসুরের ডাল ১১৫ টাকা, মুগ ডাল ১৪৫ টাকা, খেসারি ডাল ৯৫ টাকা, বুটের ডাল ৯৫ টাকা, ছোলা ৯০ টাকা, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৯ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১৪৫ টাকা, খোলা চিনি ১৪৫ টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৪০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ১২০ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শহরের এইচএমএম রোডের হিমু স্টোরের বিক্রেতা গোপাল চন্দ্র বলেন, সয়াবিন তেল পাচ্ছি না এক সপ্তাহ ধরে।
শহরের বেজপাড়া তালতলা মোড়ের মুদি ব্যবসায়ী আব্দুস সবুর বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে কোম্পানিতে অর্ডার দেয়ার পরও সয়াবিন তেল সরবরাহ পাচ্ছি না। কোম্পানির লোককে জিজ্ঞেস করলে বলে আসলে দেব।
Subscribe to Updates
শিরোনাম:
- একই সঙ্গে দুই কলেজের অধ্যক্ষ জাহিদুলের নজিরবিহীন দুর্নীতি
- অভয়নগরকে হারিয়ে ফাইনালে কালীগঞ্জ
- অফিস সহকারী পদে হেলালের এমপিওভুক্তি নিয়ে লুকোচুরি
- শিক্ষার মান উন্নয়নে ভালো শিক্ষক দরকার
- উপশহর টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত
- ‘বিজ্ঞানমনস্ক প্রজন্ম গড়তে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে’
- যশোরে নতুন আঙ্গিকে ব্রাদার্স ফার্নিচার শো রুম উদ্বোধন
- আলুর দাম লাগামহীন ভোক্তার নাভিশ্বাস