বিবি প্রতিবেদক
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-যশোর রেললাইনের দ্বিতীয় ধাপের কাজ অর্থাৎ ভাঙ্গা-নড়াইল-যশোর অংশের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এ অংশের ৮৪ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে বাকি কাজ শেষ করে আগামী বছর জুন মাসেই এ পথে চলবে রেল। ফলে স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে আগামী জুন মাসেই নড়াইলবাসী পেতে যাচ্ছে সরাসরি রেলসেবা।
দীর্ঘদিন পরে হলেও রেললাইন নির্মিত হওয়ায় আনন্দের জোয়ার বইছে কৃষিনির্ভর জেলা নড়াইলবাসীর মনে। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন হলে দেশের বৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল, বাণিজ্যিক শহর নওয়াপাড়া ও শিল্পাঞ্চল খুলনাসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের যাতায়াত, পণ্য পরিবহনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই রেললাইনটি। পণ্য পরিবহন অনেক সাশ্রয়ী হবে, সময়ও লাগবে কম। ফলে বদলে যাবে এ এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থা।
ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬২.৫ কিলোমিটার জুড়ে চলছে রেললাইন নির্মাণকাজ। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপের নির্মাণকাজ। বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক নিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (সিআরসি) এ রেললাইনের নির্মাণকাজ করছে। প্রকল্পের পরামর্শক হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত কনস্ট্রাকশন, সুপারভিশন, কনসালট্যান্ট (সিএসসি)-এর অধীনে ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্যগণসহ (কর্মকর্তা ও কর্মচারী) দেশি-বিদেশি অভিজ্ঞ পরামর্শকগণ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রথম ধাপের কাজ শেষে ইতিমধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেল সেবা চালু হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে ভাঙ্গা থেকে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা হয়ে নড়াইলের লোহাগড়া ও সদর উপজেলার ওপর দিয়ে যশোরের পদ্মবিলা জংশনের সাথে মিলিত হবে এ রেললাইন। ব্রডগেজ এ রেললাইনে ৬৬টি বড় সেতু ও ২৪৪টি ছোট সেতুর নির্মাণকাজ শেষের পথে। লেভেল ক্রসিং গেট থাকবে ৩০টি। ৯টি জেলার ওপর দিয়ে যাবে এই রেললাইন।
ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা, নগরকান্দা, মুকসুদপুর, মহেশপুর, কাশিয়ানী, লোহাগড়া, নড়াইল ও জামদিয়া হয়ে যশোরের রুপদিয়ায় গিয়ে এ রেললাইন যুক্ত হবে। এর মধ্যে ভাঙ্গা, কাশিয়ানী, যশোরের পদ্মবিলা ও সিঙ্গিয়া রেলওয়ে জংশন হবে। নড়াইল জেলার লোহাগড়া পৌর এলাকার নারানদিয়ায় ও নড়াইল পৌর এলাকার দুর্গাপুরে রেল স্টেশন হবে। ঢাকা থেকে যশোরের সিঙ্গিয়া পর্যন্ত মোট ১৬২.৫ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপনে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৬ দশমিক ৮০ কোটি টাকা। ঢাকা থেকে লোহাগড়া রেল স্টেশনের দূরত্ব ১২৩ ও নড়াইল রেল স্টেশনের দূরত্ব ১৩৮ কিলোমিটার।
নড়াইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী বলেন, রেললাইন নির্মাণের জন্য জেলায় ৪০৬ দশমিক ৭১ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের আওতায় নড়াইল-লোহাগড়া অংশের কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৪ সালের জুন মাসে নড়াইলবাসী সরাসরি রেলসেবার সঙ্গে যুক্ত হবে।
পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের ভাঙ্গা-যশোর অংশের সাইট ক্লিয়ারেন্স অফিসার লে. কর্নেল সোহেল জানান, প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপের রেললাইনের ৮৪ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এ প্রকল্পের কাজ শেষ করে ২০২৪ সালের জুন মাসে এটি হস্তান্তর করা সম্ভব হবে।
শিরোনাম:
- গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে জেকে বসেছে শীত
- পুনশ্চ’র ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত
- শীতে বাড়ছে রোগীর চাপ নাজুক চিকিৎসা সেবা
- মাগুরায় পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত
- যশোরে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষায় সভা
- সাজা শেষে দেশে ফিরলেন ২ ভারতীয়
- শালিখার চিকিৎসা নিতে আসা অজ্ঞাত বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার
- বিশ্ব ইজতেমায় হামলার প্রতিবাদে যশোরে বিক্ষোভ