এস এ সোহাগ, কালীগঞ্জ
২০০১ সালে নির্মাণ করা হয় শহীদ মিনারটি। দুই যুগ পার হলেও শহীদ মিনারটিতে কখনো কাউকে ফুল দিতে দেখা যায়নি। এমনই এক শহীদ মিনার রয়েছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে। অযত্ন আর অবহেলায় নষ্ট হতে শুরু করেছে শহীদ মিনারটি।
জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের পূর্বপাশে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ধারে ছিল দুটি বিশাল আকৃতির পুকুর। মাঝ দিয়ে ছিল উপজেলা পরিষদে যাওয়ার প্রবেশপথ। ২০০১ সালে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উদ্যোগে ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় পুকুর দুটি ভরাট করা হয়। এই পুকুরের জায়গায় এক পাশে স্মৃতিসৌধ আর অন্য পাশে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়। বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবসে স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেও দুই যুগে একটিও ফুল দেয়া হয়নি শহীদ মিনারটিতে। অযত্ন আর অবহেলায় নষ্ট হয়েছে শহীদ মিনারটি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহীদ মিনারটির মূল ফটক সব সময় থাকে তালাবদ্ধ। পরিস্কার না করায় এর চারপাশে জমেছে ময়লার স্তূপ, মিনারটি ঢাকা পড়ছে জঙ্গলে। ধসে পড়ছে মিনারের বিভিন্ন অংশ। শহরের অন্যান্য শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেও উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে নির্মিত শহীদ মিনারে কোন ফুল নেই।
স্থানীয় সংবাদকর্মী মিশন আলী জানান, বছরের পর বছর যায় কিন্তু এই শহীদ মিনারটিতে কেউ ফুল দেয়না। এমনকি স্থানীয় প্রশাসনও এ ব্যাপারে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করে না। তাহলে সরকারের টাকা খরচ করে এটি কেন নির্মাণ করা হলো। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয় নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। কিন্তু কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। দুই যুগ পার হয়েছে। এটি আসলে লজ্জার বিষয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, এই শহীদ মিনার রেখেই সবাই সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজ চত্বরে নির্মিত শহীদ মিনারে ফুল দিতে যায়। কিন্তু এটি পড়েই আছে। কোনদিন কাউকে ফুল দিতে দেখিনি।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেদারুল ইসলাম বলেন, আমি কিছুদিন আগে এসেছি। বিষয়টি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।