বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে হত্যার ঘটনার জের ধরে একটি টিন শেডের বাড়ি আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এতে ওই বাড়ির ছয়টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শনিবার মধ্যরাতে শহরের বারান্দীপাড়া এলাকার মাঠপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, গত ৯ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে ওই এলাকার আয়ান, মিলন ও শাহিনের নেতৃত্বে এলাকার চিহ্নিত ৭/৮ জন একই এলাকার টগর হোসেনকে ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। মারাত্মক জখম অবস্থায় তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় টগরের মৃত্যু হয়।
পুড়ে যাওয়া ঘরের মালিক তারেক হাসান বলেন, টগর হত্যা মামলার আসামি আয়ান তার টিনের একটি ঘরে ভাড়া থাকতেন। শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে টগরের লাশ নিয়ে এসে দাফনের পর রাত ১২ টার দিকে টগরের বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়-স্বজন হত্যার ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযুক্ত আয়ানের বসবাস করা একটি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময়ে আগুনে মোট ছয়টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে কয়েক লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় রাতেই পুলিশ দু’জনকে আটক করে নিয়ে গেছে।
যশোর ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মামুনুর রশিদ বলেন, শনিবার রাত ১২ টার দিকে আগুন লাগার খবর আসে আমাদের কাছে। সাথে সাথে সেখানে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের পাঠানো হয়। কর্মীরা সেখানে এক ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরমধ্যে ছয়টি ঘর ভস্মীভূত হয়ে যায়। তবে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনো নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি।
যশোর কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শহরের বারান্দীপাড়া বটতলা এলাকার মনি হোসেনের ছেলে টগর হত্যার জেরে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্তদের আটকে পুলিশ অভিযানে রয়েছে।
শিরোনাম:
- যশোর জেনারেল হাসপাতালে দুদকের অভিযান
- যশোরে বেড়েছে খুন-ধর্ষণ, আইনশৃংখলা উদ্বেগজনক
- যশোরে দ্বন্দ্ব সংবেদনশীলতা ও রূপান্তর বিষয়ক কর্মশালা শুরু
- জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ নড়াইলকে দুই গোল যশোরের
- এবার যশোরে ৭০৫টি শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি
- সুন্দরবনের সাগরে নিখোঁজ মাহিদের মরদেহ উদ্ধার
- শ্যামনগর ইউএনও’র বদলি আদেশ প্রত্যাহার দাবিতে মানববন্ধন
- মানসিক সুস্থতা এবং আসক্তি প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম