বাংলার ভোর প্রতিবেদক
কে কিভাবে জীবনের সুখ সৃষ্টি করবে সেটা তার একান্ত নিজের ভাবনা। কেউ রাজনীতি করে, কেউ চাকরি করে, কেউ উদ্যোক্তা হয়ে সুখ খুঁজে নেয়। জীবনে বড় হওয়ার স্বপ্ন পূরণের জন্যে রাত ১২টার আগে ঘুমিয়ে সকাল ছয়টার আগে উঠতে হবে। শুভ চিন্তা করতে হবে।
‘জীবনায়ন পরিকল্পনা ও আশাবাদী হওয়া’ বিষয়ক চা চক্র ও উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুকুল হায়দার এসব কথা বলেন।
রোববার যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের ইতিহাস বিভাগের ইতিহাস ক্লাবের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠান করা হয় ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘সরকারি চাকরির বাজার খুব ছোট। সরকারি চাকরি বা বিসিএস ক্যাডার না পেলে হতাশ হওয়া যাবে না। কারণ, জীবনের মানে শুধু সরকারি চাকরিজীবী হওয়া না। বেসরকারি চাকরির বাজার অনেক বড়- প্রতিযোগিতাও বেশি। উদ্যোক্তা হতে পারলে আরো ভালো। সেখানে অনেকের চাকরি দেয়ার সুযোগও সৃষ্টি হয়। এজন্যে নিজেকে দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে’।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইতিহাস বিভাগের প্রধান অধ্যাপক শামীমা আখতার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইস্পাহানী চা কোম্পানির জেষ্ঠ্য বিভাগীয় কর্মকর্তা নাজমুল হুদা। অন্যদের মধ্যে আলোচনা করেন ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহ্জাহান কবির, সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম, প্রভাষক সজীব কুন্ডু প্রমুখ।
পরে শিক্ষার্থীরা গান ও কবিতা আবৃত্তি পরিবেশন করেন।
ইতিহাস বিভাগের সামনে বারান্দায় চা চক্রের আয়োজন করা হয়। এতে স্নাতক প্রথম বর্ষ থেকে স্নাতকোত্তর পর্বের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। যা মিলনমেলায় রূপ নেয়।