বাংলার খেলা ডেস্ক
প্রতিশোধটা নিল বাংলাদেশ। পাকিস্তানের মাটিতে তাদের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের প্রতিশোধ। তিন ম্যাচের সিরিজে এবার ঘরের মাঠে তাদের ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। তবে ষোলোকলা পূর্ণ করাটা বাকি রয়েছে। কেননা পাকিস্তানে তিন ম্যাচের সিরিজে ধবলধোলাই হয়েছিল বাংলাদেশ।
সিরিজ জয়ের ম্যাচে ৮ রানের রুদ্ধশ্বাস এক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। কেননা শেষ ১২ বলে ২৮ রান প্রয়োজন ছিল। বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ২ উইকেট। ১৯তম ওভারে রিশাদ হোসেন প্রথম ৫ বলে ১৫ রান দিলে পাকিস্তানের দিকে ম্যাচ যায় ঝুলে। তবে শেষ বলে গলার কাঁটা হয়ে থাকা ফাহিম আশরাফকে বোল্ড করলে আবারও জয়ের পাল্লা ভারি হয় বাংলাদেশের।
এতে শেষ ওভারের সমীকরণ দাঁড়ায় ৬ বলে ১৩। আর বাংলাদেশের প্রয়োজন ১ উইকেট।
শেষ ওভারে মুস্তাফিজুর রহমানের প্রথম বলে আহমেদ দানিয়াল চার মারলে সুতোয় ঝুলতে থাকে ম্যাচের ভাগ্য। তবে দ্বিতীয় বলেই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যায়। অভিষিক্ত দানিয়ালকে মিডউইকেটে শামীম হোসেনের ক্যাচ বানালেন। মুস্তাফিজের করা বলটিতে অবশ্য টাইমিং ভালোই করেছিলেন পাকিস্তানের পেসার। কিন্তু একদম বাউন্ডারির কাছে ধরা পড়েন তিনি।
এর আগে সহজ জয় পাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। কেননা শরীফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিবের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৫ রানেই পাকিস্তানের ৫ উইকেটে নিয়েছিল বাংলাদেশ। শেখ মেহেদী দ্রুত দুই উইকেটে তুলে নিয়ে সেই স্কোর দাঁড় করায় ৪৭ রানে ৭। সেখান থেকেই আব্বাস আফ্রিদি (১৯) ও দানিয়ালের (১৭) সঙ্গে দুটি ছোট্ট জুটি গড়ে পাকিস্তানকে জয়ে এনে দিচ্ছিলেন ফাহিম আশরাফ। তবে ৫১ রানের ইনিংস খেলা বাঁহাতি ব্যাটার শেষে আর হিসাব মেলাতে পারেননি। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি পেসার শরীফুল।
এর আগে জাকের আলী অনিকের ফিফটিতে ১৩৩ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ৩৩ রানের ইনিংস খেলা শেখ মেহেদীর অবদানও কম নয়। কেননা দলীয় ২৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ ধুঁকছিল। সেখান থেকে পঞ্চম উইকেটে ৫৫ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে এই সংগ্রহের ভিত এনে দেন তারা। পাকিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন সালমান মির্জা, আহমেদ দানিয়াল ও আব্বাস আফ্রিদি।